স্টাফ রিপোর্টার. চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ার খ্যাতিমান উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হযরত ফাতিমা (রা:) বালিকা আলীম মাদ্রসার গভর্নিং বডির সভাপতি হতে না পারায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠান নিয়ে অপরাধমুলক অপপ্রচারও ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ওই মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি আজিজুর রহিমের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষানুরাগী লোকজন ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। হযরত ফাতিমা (রা:) বালিকা আলীম মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি মনজুরুল কাদের টুক্কু এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, পূর্ববড় ভেওলা ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের শাহ নেওয়াজের ছেলে আজিজুর রহিম বিগত ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত হযরত ফাতিমা(রা:) বালিকা আলীম মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি মাদ্রাসায় নানা অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। ওই সব দূর্নীতি থেকে নিস্তার পেতে নিজেকে ধোঁয়ার তুলসী পাতা বানাতে চেষ্টা করছেন। আবার সভাপতি হতে না পেরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে হুমকী দিচ্ছেন তিনি। একইভাবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার করে যাচ্ছেন আজিজুর রহিম।
মনজুরুল কাদের টুকু বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও মানহানিকর কুৎসা রটানো আইনগতভাবে অপরাধ। তিনি দাবী করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব অপপ্রচার ও কুৎসা রটানো হচ্ছে সবই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রয়োজনে মামলা করা হবে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কবির হোছাইন ও মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হযরত ফাতিমা(রা:) বালিকা মাদ্রাসা চকরিয়ার জন্য একটি খ্যাতিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার ছাত্রী দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বের হয়েছে। কেবলমাত্র সভাপতি হতে না পেরে এমন একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়েছে। ক্রমশ ফুসে উঠছে অভিভাবক মহলও। অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও অপপ্রচার বন্ধ না হলে অপপ্রচারকারির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঘোষনা দেন তিনি।
এ দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কবির হোছাইন বলেন, সভাপতি হতে না পেরে আমাকে প্রাণনাশে হুমকী দেওয়া হচ্ছে, আমি বর্তমানে অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তিনি বলেন, সভাপতি বানানো আমার দায়িত্ব নয়, চকরিয়া-পেকুয়ার তৎকালিন সাংসদই মনজুরুল কাদের টুকুকে সভাপতি মনোনীত করেছিলেন।
প্রক্ষান্তরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছেন সাবেক সভাপতি আজিজুর রহিম। একইসাথে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও চালাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ (অনার্স) এমএ আজিজুর রহিমকে ডিও লেটার না দেওয়ায় মাদরাসার অধ্যক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
পাঠকের মতামত: